যেখানে খুশি মিছিল-মিটিং করবো, পারলে ঠেকান : সোহেল

যেখানে খুশি মিছিল-মিটিং করবো, পারলে ঠেকান : সোহেল

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন-নবী খান সোহেল বলেছেন, এই সরকার অবৈধ সরকার। এটা নিয়ে কারও মনে কোনো দ্বিধা নেই। আমরা যাকে অবৈধ সরকার বলছি, সেই অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রশাসনের অনুমতির জন্য বিএনপির মিছিলা-মিটিং বসে থাকবে না। আগে হয়তো মিছিল কিছু কিছু জায়গায় হতো। সেই মিছিল-মিটিং এখন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে। সেখানে খুশি, সেখানে বিএনপি মিছিল-মিটিং করব, পারলে ঠেকাবেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং জয়নুল আবদিন ফারুকের সুস্বাস্থ্য কামনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সোহেল বলেন, ‘অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রশাসন নতুন নিয়ম করেছেন মিছিল-মিটিং করতে হলে উনাদের অনুমতি নিতে হবে। কার অনুমতি নিতে হবে? ওই পুলিশ যারা ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে সিল মেরেছে। অবৈধতার কাছে বৈধতার সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য কিন্তু আমরা বসে নেই। মিছিল-মিটিং করব, করতে দিতে হবে, পারমিশন নিয়ে মিটিং-মিছিল করতে আমরা পারব না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৫ অতিক্রম করছে। জীবনের এমন সময় এসে তাকে জেল খাটতে হবে এটা আমরা কখনও ভাবিনি।’

‘খালেদা জিয়া বিএনপি নেত্রী আর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেত্রী। আমরা চেয়েছি বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে এদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও শ্রদ্ধা থাকবে, রাজনীতির মধ্যে ভিন্ন মত থাকবে, মতের পার্থক্য থাকবে, কিন্তু যেখানে আওয়ামী লীগ আছে সেখানে কোন ব্যাকরণই কাজ করে না।’

হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জীবনের এই পর্যায়ে এসে অন্যায় ভাবে, এর থেকে অন্যায় আর হয় না। উনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। যদিও আমরা জানতাম যে বিভিন্ন আদালতে এমন এমন বিচারপতি বসিয়ে রেখেছেন। যারা উপরে মুজিব কোর্ট পড়ে না, কিন্তু মনের ভিতরে সবসময় মুজিব কোর্ট ঝুলে। এরকম বিচারপতিদের যেই বিচারালয় সেখানে যে আমাদের নেত্রী ন্যায় বিচার পাবেন না সেটি আমাদের ধারনা ছিলো। আমাদের নেত্রীর বিশ্বাস ছিল উনি দেখতে চেয়েছেন। ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন। বারবার আদালতে গিয়েছেন উনি যে নির্দোষ তা প্রমাণ করতে চেয়েছেন।

‘অন্যয় ভাবে আমাদের নেত্রীকে মিথ্যে মামলায় সাজা দিয়ে ওনাকে জেলে পাঠানো হলো। কখনো জেলখানায় কখনো হাসপাতালে কখনো বাসায় উনি কারাগারেই আছেন’, বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অবৈধ ক্ষমতায় ওনারা (আওয়ামী লীগ) অন্ধ হয়ে গেছে। ওনারা জানেন না, ওনারা কি করছে। ৭২ সাল থেকে ৭৫ সালে তারা এই কাজটাই করেছেন। ক্ষমতায় অন্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত চেতনাকে তারা গলাটিপে হত্যা করেছে। সারা বাংলাদেশে লাল ঘোড়া দাবড়ানোর নামে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের তারা হত্যা করেছে। তারা ভেবেছেন ক্ষমতার এই জৌলুশ কোনদিন যাবে না। ক্ষমতার যৌবন কোনদিন বার্ধক্যকে স্পর্শ করবে না। এমন ভাবনাই তারা ভেবেছ। কিন্তু ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, ক্ষমতার পরিবর্তন হবেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্যের জন্য কবর খুড়তে হয় না, খুঁড়লে সেই কবরে নিজেকে পড়তে হবে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে যারা উল্লাসিত আনন্দিত, মনে রাখবেন ঐ কারাগারে খালেদা জিয়া চিরদিন থাকবেন না, অবশ্যই তিনি বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু কারাগার রয়ে যাবে। ঐ কারাগারে কাদের যেতে হবে ইতিহাস কিন্তু তা নির্ধারণ করে দিবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন